Make your home a place of inspiration. Choose different colors for your rooms according to the mood.
পৃথিবীর সব প্রাণীর মত আমরাও দিনশেষে ফিরে আসি আপন আলয়ে। ধরুন দেখে শুনে,বুঝে মনের মত এক বাড়িতে উঠলেন, খুব ভেবে চিন্তে আসবাবও কিনলেন, সাজিয়ে-গুছিয়ে নিলেন আপন গৃহকোণ। কিন্তু তবুও কী যেন ঠিক নেই, কোথায় যেন এক বিষণ্নতা, ঘরে ফিরে কেন যেন পাওয়া যাচ্ছে না কাঙ্ক্ষিত সেই সুখানুভূতি। তবে বুঝতে হবে আপনার ঘরের রঙ ও আলো চাচ্ছে আপনার একটু বাড়তি মনোযোগ অথবা আপনার ঘরে নেই কোনো সবুজের ছোঁয়া।
জ্বি, সব ঘরদোর, আসবাব ঠিকঠাক করার পরও যদি আপনার এমনটা মনে হয় তবে বুঝতে হবে আপনাদের ঘরের আলো এবং রঙ নিয়ে আপনাদের আরো ভাবার আছে। তাই আমরা কথা বলবো ঘরের রঙ নিয়ে।
একটি ঘরকে আপন বা পর, বড় বা ছোট মনে হবার পেছনে বড় প্রভাবক এই রঙ। তাই রঙ নির্বাচনে আপনাকে হতে হবে বিশেষ যত্নবান। উজ্জল রংগুলো যেমন আমাদের মনকে করে তোলে প্রফুল্ল তেমনি তুলনামূলক গাঢ় বা ডার্ক রঙ গুলো আমাদের মনকে করে শান্ত বা স্থির। এসব ক্ষেত্রে উজ্জ্বল রঙ গুলোকে আমরা বলে থাকি ওয়ার্ম কালার আর গাঢ় রঙ কে বলি কুল কালার। রঙ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের ওয়ার্ম কালাদের লাইট শেড গুলো ব্যাবহার করা উচিৎ। একটি বাড়ির সকল ঘরে যেমন একই আসবাব হয় না তেমনি প্রতিটা ঘরের রঙ এর ব্যবহারও হতে হয় ভিন্ন।
প্রথমেই আসি বসার ঘরে। এই ঘরটি বাসার সবচেয়ে পাবলিক জোন, প্রধানত এখানেই জমে ওঠে ছুটির দিনে বন্ধুদের আড্ডা। তাই এই ঘরটি হওয়া উচিৎ খুব প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল। এসব দিক মাথায় রেখেই বসার ঘরের জন্য বেছে নিন ওয়ার্ম কোন কালার। এতে করে ঘরটি যেমন বড় মনে হবে তেমনি এই ঘরে বসলেও মন থাকবে ফুরফুরে। লাইট গ্রিন, অফ হোয়াইট, হালকা হলুদ, হালকা পিচ হতে পারে আপনার বসার ঘর। সবক’টি দেয়াল একই রঙ্গে না রাঙ্গিয়ে যেকোন একটি দেয়ালে দিতে পারেন গাঢ় একটি রঙ, এতে আপনার বসার ঘরে তিনদিক খোলা এবং একদিক বন্ধ এমন একটি ইল্যুউশন তৈরী হবে।এক্ষেত্রে শীন ফিনিশের জন্য বেছে নিতে পারেন এশিয়ান পেইন্টসের রয়্যাল লাক্সারি সিল্ক এমালশন রেঞ্জের কোনো শেড, এছাড়াও ম্যাট ফিনিশের জন্য বেছে নিন এশিয়ান পেইন্টস আপকোলাইট প্রিমিয়াম এমালশন রেঞ্জের কোনো শেড।অথবা একটি দেয়ালে রয়্যাল প্লে ব্যবহার করে দিতে পারেন টেক্সচারড ফিনিশ। এতে করে আপনার বসার ঘরটিতে চলে আসবে এক নান্দনিক রূপ। কখনোই কোন ঘরের সবকয়টি দেয়াল ডেকোরেটিভ/ টেক্সচারড ফিনিশে ঢাকবেন না, তাতে আপনার ঘরের কোন দেয়ালেই চোখ স্থির হবে না বরং আরো জবরজং লাগবে।
খাবার ঘরেও বসার ঘরের মত খোলামেলা ভাব থাকা জরুরি। তাই এখানেও বেছে নিন হাল্কা বাদামি, হলুদাভ সাদা, পেস্ট জাতীয় ওয়ার্ম কোন রং। মনে রাখবেন খাবার ঘরের রঙ কিন্তু শুধু নান্দনিকতা না, প্রভাব ফেলবে আপনার খাদ্যগ্রহণের উপর।
একটি বাড়িতে শোবার ঘর তুলনামূলক প্রাইভেট জোন, তাই এখানে কিছুটা গাঢ় রঙ দেয়া যেতে পারে। তবে তা ডার্ক শেড না হওয়াটাই উচিৎ। এখানেও একটি ফোকাসড দেয়াল আপনি রাঙ্গাতে পারেন টেক্সচারড ফিনিশে অথবা এশিয়ান পেইন্টসের ওয়াল ফ্যাশন ডিজাইন।
শিশুদের ঘরের রঙের ক্ষেত্রে পছন্দ করুন বর্ণিল কোন রং। তবে খেয়াল রাখবেন তা যেন অবশ্যই কোন কুল কালার না হয়। এই ঘরে একটি দেয়াল করে দিন কিডস ওয়ার্ল্ডের কোনো একটি ডিজাইন যা শিশুর মনে আনবে আলাদা স্ফুর্তি।
অনেকেই বাড়িতে একটি ছোট স্টাডি রুম বা কর্নার রাখেন। এখানে আপনি কিছুটা গাড় রঙ ব্যবহার করতে পারেন কারন এই জায়গা একান্তই আপনার আর একান্ত স্থান কিছুটা ঠান্ডা ও প্রশান্তির হওয়াটাই কাম্য। তাছাড়া তুলনামূলক কুল কালার আপনার মনোযোগও ধরে রাখবে।
This field is required
Please enter text only.
Please enter digits only.
Value must must be greater than {0} {1}.
Value must must be lesser than {0} {1}.
Please enter {0} digits mobile number.
Passwords do not match
Please enter a valid email id.
Please enter valid mobile number
Password must be of length 6 to 16 characters with at least a letter and a digit.
Colorful Dwelling
posted on 21.12.2018
Make your home a place of inspiration. Choose different colors for your rooms according to the mood.
পৃথিবীর সব প্রাণীর মত আমরাও দিনশেষে ফিরে আসি আপন আলয়ে। ধরুন দেখে শুনে,বুঝে মনের মত এক বাড়িতে উঠলেন, খুব ভেবে চিন্তে আসবাবও কিনলেন, সাজিয়ে-গুছিয়ে নিলেন আপন গৃহকোণ। কিন্তু তবুও কী যেন ঠিক নেই, কোথায় যেন এক বিষণ্নতা, ঘরে ফিরে কেন যেন পাওয়া যাচ্ছে না কাঙ্ক্ষিত সেই সুখানুভূতি। তবে বুঝতে হবে আপনার ঘরের রঙ ও আলো চাচ্ছে আপনার একটু বাড়তি মনোযোগ অথবা আপনার ঘরে নেই কোনো সবুজের ছোঁয়া।
জ্বি, সব ঘরদোর, আসবাব ঠিকঠাক করার পরও যদি আপনার এমনটা মনে হয় তবে বুঝতে হবে আপনাদের ঘরের আলো এবং রঙ নিয়ে আপনাদের আরো ভাবার আছে। তাই আমরা কথা বলবো ঘরের রঙ নিয়ে।
একটি ঘরকে আপন বা পর, বড় বা ছোট মনে হবার পেছনে বড় প্রভাবক এই রঙ। তাই রঙ নির্বাচনে আপনাকে হতে হবে বিশেষ যত্নবান। উজ্জল রংগুলো যেমন আমাদের মনকে করে তোলে প্রফুল্ল তেমনি তুলনামূলক গাঢ় বা ডার্ক রঙ গুলো আমাদের মনকে করে শান্ত বা স্থির। এসব ক্ষেত্রে উজ্জ্বল রঙ গুলোকে আমরা বলে থাকি ওয়ার্ম কালার আর গাঢ় রঙ কে বলি কুল কালার। রঙ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের ওয়ার্ম কালাদের লাইট শেড গুলো ব্যাবহার করা উচিৎ। একটি বাড়ির সকল ঘরে যেমন একই আসবাব হয় না তেমনি প্রতিটা ঘরের রঙ এর ব্যবহারও হতে হয় ভিন্ন।
প্রথমেই আসি বসার ঘরে। এই ঘরটি বাসার সবচেয়ে পাবলিক জোন, প্রধানত এখানেই জমে ওঠে ছুটির দিনে বন্ধুদের আড্ডা। তাই এই ঘরটি হওয়া উচিৎ খুব প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল। এসব দিক মাথায় রেখেই বসার ঘরের জন্য বেছে নিন ওয়ার্ম কোন কালার। এতে করে ঘরটি যেমন বড় মনে হবে তেমনি এই ঘরে বসলেও মন থাকবে ফুরফুরে। লাইট গ্রিন, অফ হোয়াইট, হালকা হলুদ, হালকা পিচ হতে পারে আপনার বসার ঘর। সবক’টি দেয়াল একই রঙ্গে না রাঙ্গিয়ে যেকোন একটি দেয়ালে দিতে পারেন গাঢ় একটি রঙ, এতে আপনার বসার ঘরে তিনদিক খোলা এবং একদিক বন্ধ এমন একটি ইল্যুউশন তৈরী হবে।এক্ষেত্রে শীন ফিনিশের জন্য বেছে নিতে পারেন এশিয়ান পেইন্টসের রয়্যাল লাক্সারি সিল্ক এমালশন রেঞ্জের কোনো শেড, এছাড়াও ম্যাট ফিনিশের জন্য বেছে নিন এশিয়ান পেইন্টস আপকোলাইট প্রিমিয়াম এমালশন রেঞ্জের কোনো শেড।অথবা একটি দেয়ালে রয়্যাল প্লে ব্যবহার করে দিতে পারেন টেক্সচারড ফিনিশ। এতে করে আপনার বসার ঘরটিতে চলে আসবে এক নান্দনিক রূপ। কখনোই কোন ঘরের সবকয়টি দেয়াল ডেকোরেটিভ/ টেক্সচারড ফিনিশে ঢাকবেন না, তাতে আপনার ঘরের কোন দেয়ালেই চোখ স্থির হবে না বরং আরো জবরজং লাগবে।
খাবার ঘরেও বসার ঘরের মত খোলামেলা ভাব থাকা জরুরি। তাই এখানেও বেছে নিন হাল্কা বাদামি, হলুদাভ সাদা, পেস্ট জাতীয় ওয়ার্ম কোন রং। মনে রাখবেন খাবার ঘরের রঙ কিন্তু শুধু নান্দনিকতা না, প্রভাব ফেলবে আপনার খাদ্যগ্রহণের উপর।
একটি বাড়িতে শোবার ঘর তুলনামূলক প্রাইভেট জোন, তাই এখানে কিছুটা গাঢ় রঙ দেয়া যেতে পারে। তবে তা ডার্ক শেড না হওয়াটাই উচিৎ। এখানেও একটি ফোকাসড দেয়াল আপনি রাঙ্গাতে পারেন টেক্সচারড ফিনিশে অথবা এশিয়ান পেইন্টসের ওয়াল ফ্যাশন ডিজাইন।
শিশুদের ঘরের রঙের ক্ষেত্রে পছন্দ করুন বর্ণিল কোন রং। তবে খেয়াল রাখবেন তা যেন অবশ্যই কোন কুল কালার না হয়। এই ঘরে একটি দেয়াল করে দিন কিডস ওয়ার্ল্ডের কোনো একটি ডিজাইন যা শিশুর মনে আনবে আলাদা স্ফুর্তি।
অনেকেই বাড়িতে একটি ছোট স্টাডি রুম বা কর্নার রাখেন। এখানে আপনি কিছুটা গাড় রঙ ব্যবহার করতে পারেন কারন এই জায়গা একান্তই আপনার আর একান্ত স্থান কিছুটা ঠান্ডা ও প্রশান্তির হওয়াটাই কাম্য। তাছাড়া তুলনামূলক কুল কালার আপনার মনোযোগও ধরে রাখবে।
All Comments(0)
Comments
Please login to favourite
Please login to comment